লাইজু আক্তার
ছাওয়া মানেই একটা নরম মনের মানুষ। উমার সাথে হামরা যেই রকম ব্যবহার করি কিংবা শিখাই উমরা সেইটায় ধারণ করে। আজিকার ছাওয়ায় আইসা দিনের সম্পদ। তায়, ছাওয়ালার সাথে হামরা যেইরকম ব্যবহার করিমু উমরাও তার সমান প্রতিদান দিবে। ছাওয়ালাক সঠিক শিক্ষা দিয়া আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ি তুলা যেমন হামার দায়িত্ব তেমনে উমার মতামতক গুরুত্ব দেওয়াও হামার দায়িত্ব হওয়া উচিত।
হামরা অনেকেই ছাওয়ার অভিমতক তাচ্ছিল্যের চোখে দেখি। মনে করি, উমার কথা শুনার মতন আরও কি আছে? এমনটা করা উচিৎ না হয়। কারণ, ইয়াতে ছাওয়ালা হামাক খুবে অচ্ছুদ ভাবে। মনে করে, উয়ার কুনোয় দাম নাই। আত্মসম্মানহীন অনুভূতি নিয়া উয়ায় বড়ো হয়। ফলে উয়ার চিন্তার রাইজ্য প্রসারিত হবার পায় না। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হবার পায় না।
ঐন্যপাখে উমার কথা শুনিলে, মতামত কবার সুযোগ দিলে-- উমরা উমাক পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বুলি বিবেচনা করে। উমরাও নয়া-নছক চিন্তা করিতে উদ্বুদ্ধ হয়। ইয়াতে উমার চিন্তার রাজ্য প্রসারিত হয়, উমরা আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়; সর্বোপরি একনা চিন্তাশীল, সৃজনশীল আর মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ি উঠবার পায়। তায়, উমাক পারিবারিক বিষয়গিলাতও রাখা উচিৎ। উমার মতামত নেওয়া দরকার। কুনো-কুনোসমায় ছাওয়ালার মাথা থাকিও অনেক আইডিয়া চলি আইসে।
প্রযুক্তির উন্নতির যুগত হামরা ছাওয়ালাক আর সমায় দেই না। অনেকেই আছে বাহে— ছাওয়া ডেকায় ,‘মাও……..বাপ….’ আর উমরা মোবাইলের স্ক্রিনতে ব্যস্ত। অথচ উমার উচিৎ ছিল ছাওয়ায় কি কবার চায়-- সেইটাক গুরুত্ব দেওয়া। ছাওয়া ডেকালে উয়ার পাখে ঘুরি বইসো। মুখোমুখি হয়া শুনো— উয়ায় কি কবার চায়। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উয়ার মতামত চাও; প্রয়োজনে গ্রহণ না করো, কিন্তু শুনিতে তো দোষ নেই!
পরিশেষে কইম, ছাওয়ালা কী কবার চায়, মনযোগ দিয়া শুনো। উমরা যে তোমারলার পরিবারের গুরুত্ব বহন করে-- সেইটা উমাক বুঝির দ্যাও। উমার মতামত চায়া বিকশিত করেন, উমার ভাবনার জগতক প্রসারিত করেন। তোমারগিলার আচরণেই তোমার পরিবারত বড়ো হয়া উঠুক তোমারগিলার আদর্শ সন্তান।
লাইজু আক্তার
শিক্ষার্থী,
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ।